
কাপুরুষ অথবা কালপুরুষ
ঘটনার নগরবৃত্তায়নে আমি কাপুরুষ
বাচিকতা আমাকে ছু্ঁয় না
বায়ু দূষন ~ নগর বিষন্নতায় কালপুরুষ
অভ্যস্ত সীমারেখা ভেঙে যাচ্ছে অভ্যন্তরীন
নলপথ বেয়ে
গ্লুকোজের দ্বিগুন মাত্রা শরীরের ভিতরে
আমার নক্ষত্র রাশি এখন বিষন্নকাল
পোহাচ্ছে
অবস্থিত জ্যামিতিক বিন্দুতে আমার আয়না চোখ
আমি নই
থার্টিফার্স্ট নাইট
অনন্তের বাঁশি বাজছে -
স্পেস ষ্টেশনে আমার উল্লসিত অট্টহাসি
ভেসে বেড়াচ্ছে
উড়ন্ত ডানায় বসে আছে নীল
গ্রহের অসংখ্য মহাকাশ যাত্রী
উঠছে নামছে তুমুল ভায়াগ্রার উত্তেজনা
থার্টিফার্স্ট নাইট
টু থাউজেন্ড টুয়েন্টি থ্রি - তে
আমি এক বিচ্ছিন্ন অন্ধকার
গ্রহ
যৌনরস সেবন করে সঙ্গমে
ধ্যানস্থ হয়েছি
নারীহীন এ সঙ্গম একরকম
যোগ ধ্যান ~ যা আমাকে অনন্ত
যৌনতৃপ্তি দিয়েছে
হে অনন্তের প্রভু -
নারীহীন স্বর্গ থাকুক
সঙ্গে এক পেয়ালা যৌনরস
নারী
কোথাও ঘটনাটা মনে হলো ধাক্কা
খেলো
আমি বিরাট এক অংকের ফাঁকে
গলে গেলাম
ভাব ধরা জলে সাঁতার
কেটে-
এক রাতে আমি অমন
করে ভিজে গেলাম
বুকের কামিজের নেশায় পড়ে-
এক রাতের ব্যবধানে আমি শরীর পুড়িয়ে
নারী হয়ে উঠলাম
শ্মশানচারী মেঘ
আমাকে অবচেতন মনে ভাবো
ভাবো আমার জলাতঙ্ক শরীরটাকে
যোনির আঁচড়ে রক্ত ঝরে পড়ছে
নিভৃতে
আতঙ্কিত পুং কাঁপছে
পদ্মার পাড়ের যৌবন এখন শ্মশানচারী
মেঘ
পলির পাথরে ঘুৃমের পাতা ভেঙে আসছে
তন্দ্রাচ্ছন্ন কুয়াশা উড়ছে রাজপথ জুড়ে
বেহুলা
একমুখো সিনেমায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
দুঃস্বপ্নের
মত সেজে আছে আমার
স্বপ্নের বিকেলেরা
শহর ছেড়েছি গ্রেনেডে পা পুড়ে
মন থেকে শরীর সাপ
হয়ে উঠেছে
ফিরে এসো পৌরাণিক বেহুলা
নব্য- বৈদিকরূপে
সময় ছিনিয়ে নিয়েছে
ভুলের ভিতর অথর্ব চেতন
সময় ছিনিয়ে নিয়েছে আমার প্রেম
জীবন আর সংসার ভূ-তলে
কষ্ট নেই কোন
শুধু বারংবার হিংসার তান্ডব
খসে খসে পড়ে গতর
থেকে লোভ
আমার আয়না ছিনিয়ে নিয়েছে
মিথ্যে ছলনায়
নাহলে কতবার গড়তাম আমাকে আমি